হাকোনের সাত ভাগ্যবান দেবতা: প্রশান্তির খোঁজে এক আধ্যাত্মিক যাত্রা


অবশ্যই! এখানে ‘হাকোন সাত ভাগ্যবান দেবতা’ (箱根七福神) সম্পর্কিত তথ্যসহ একটি বিস্তারিত নিবন্ধ রয়েছে, যা পাঠকদের হাকোনে ভ্রমণের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।


হাকোনের সাত ভাগ্যবান দেবতা: প্রশান্তির খোঁজে এক আধ্যাত্মিক যাত্রা

জাপানের এক মনোমুগ্ধকর পার্বত্য অঞ্চল হাকোনে। পাহাড়, হ্রদ, উষ্ণ প্রস্রবণ (onsen) আর শিল্পের সমাহারে সমৃদ্ধ এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে এক প্রিয় গন্তব্য। কিন্তু হাকোনের শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা শিল্পকলাই নয়, এখানে লুকিয়ে আছে এক গভীর আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য – হাকোনের সাত ভাগ্যবান দেবতা (箱根七福神 – Hakone Shichifukujin)। এই সাতজন দেবতার দর্শন লাভ করা জাপানি সংস্কৃতিতে সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং দীর্ঘায়ু লাভের এক বিশেষ উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়।

আপনি যদি ২০২৫ সালের জুন মাসের শেষ দিকে হাকোনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে এই সাত ভাগ্যবান দেবতার মন্দিরে পদার্পণ করে আপনার যাত্রাকে আরও অর্থবহ করে তুলতে পারেন। এই নিবন্ধে আমরা হাকোনের সাত ভাগ্যবান দেবতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব এবং কীভাবে তাদের মন্দিরে দর্শন লাভ করা যায়, সে বিষয়ে আলোকপাত করব।

হাকোনের সাত ভাগ্যবান দেবতা কারা?

জাপানি লোককথায় সাতজন ভাগ্যবান দেবতাকে ‘Shichifukujin’ বলা হয়। এঁরা হলেন:

  1. দাইকোকুটেন (大黒天): সৌভাগ্য, শস্য ও ভাগ্যের দেবতা। ইনি প্রায়শই একটি হাতুড়ি এবং একটি বড় থলি নিয়ে চিত্রিত হন, যা সম্পদ ও সমৃদ্ধির প্রতীক।
  2. এবাইসু (恵比寿): মৎস্যজীবী, ব্যবসা ও সমৃদ্ধির দেবতা। ইনি সাধারণত একটি মাছ এবং একটি লাঠি নিয়ে থাকেন, যা প্রাচুর্য ও সাফল্যের ইঙ্গিত দেয়।
  3. বিশ্যামনতেন (毘沙門天): যুদ্ধ, যোদ্ধা ও ধন-সম্পদের দেবতা। ইনি বর্ম পরিহিত এবং একটি বর্শা ও একটি স্তূপ (pagoda) ধারণ করেন।
  4. বেনজাইতেন (弁才天): শিল্প, সঙ্গীত, জ্ঞান ও ভালোবাসার দেবী। তিনি প্রায়শই একটি বিণাযুক্ত চিত্রিত হন এবং জল ও সৌন্দর্যের সাথে যুক্ত।
  5. ফুকুরোকুজিন (福禄寿): দীর্ঘজীবন, সুখ ও বুদ্ধিমত্তার দেবতা। তাঁর লম্বা কপাল এবং লম্বা সাদা দাঁড়ি তাঁর দীর্ঘজীবনের প্রতীক।
  6. জোরোজিন (寿老人): দীর্ঘজীবন ও সুস্বাস্থ্যের দেবতা। ইনিও ফুকুরোকুজিনের মতো দীর্ঘজীবনের প্রতীক, তবে সাধারণত ইনি একটি লাঠি এবং একটি scrolls (ঐতিহাসিক নথি) বহন করেন।
  7. হোতেই (布袋): সন্তুষ্টি, উদারতা ও সুখী জীবনের দেবতা। তিনি তাঁর বড় পেট এবং হাসিখুশি মুখের জন্য পরিচিত, এবং একটি কাপড়ের থলি বহন করেন।

এই সাতজন দেবতা বিভিন্ন ঐতিহ্য ও বিশ্বাস থেকে আগত হলেও, জাপানে এঁরা সম্মিলিতভাবে শুভ ও সৌভাগ্য নিয়ে আসেন বলে মনে করা হয়।

হাকোনে কেন এই সাত ভাগ্যবান দেবতার মন্দির?

হাকোনে অঞ্চলে এই সাতজন ভাগ্যবান দেবতার মন্দিরগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যা এখানকার স্থানীয় বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মিশ্রণ। প্রতিটি মন্দির নিজস্ব স্বতন্ত্রতা বহন করে এবং এই সাত দেবতার মধ্যে কোনো একজন বা একাধিক দেবতাকে উৎসর্গীকৃত থাকে। হাকোনের শান্ত ও মনোরম পরিবেশে এই মন্দিরগুলিতে ভ্রমণ করলে এক বিশেষ আধ্যাত্মিক অনুভূতি লাভ করা যায়।

কেন হাকোনে এই যাত্রা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে:

  • আধ্যাত্মিক শান্তি: জাপানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে এই মন্দিরগুলিতে আপনি এক গভীর আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে পাবেন।
  • সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা: জাপানি দেবদেবী, লোককথা এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হওয়ার এটি এক চমৎকার সুযোগ।
  • সৌভাগ্যের অন্বেষণ: এই সাতজন দেবতার দর্শন লাভ করাকে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি আনয়নের একটি উপায় মনে করা হয়।
  • ভ্রমণের আনন্দ: হাকোনের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে মন্দিরগুলির আধ্যাত্মিকতা আপনার ভ্রমণকে অবিস্মরণীয় করে তুলবে।

হাকোনের সাত ভাগ্যবান দেবের মন্দিরে কীভাবে দর্শন লাভ করবেন?

হাকোনেতে এই সাতজন দেবতার মন্দিরগুলি বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত। সাধারণত, হাকোনে অঞ্চলের স্থানীয় পর্যটন সংস্থাগুলি অথবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি “Shichifukujin Meguri” (সাত ভাগ্যবান দেবতার দর্শন যাত্রা) এর জন্য নির্দিষ্ট রুট তৈরি করে। এই যাত্রা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব।

সাধারণত যে স্থানগুলিতে এই মন্দিরগুলি খুঁজে পাওয়া যায়:

  • হাকোনে-ইউমোতো (Hakone-Yumoto): হাকোনের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এই স্থানে কিছু মন্দির থাকতে পারে।
  • হাকোনে-মাচি (Hakone-machi) ও মোতো-হাকোনে (Moto-Hakone): আসি হ্রদের (Lake Ashi) চারপাশের অঞ্চলগুলিতেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্দির অবস্থিত।
  • গোরো (Gora) ও অন্যান্য পার্বত্য অঞ্চল: হাকোনের পাহাড়ি এলাকায়ও কিছু বিচ্ছিন্ন কিন্তু সুন্দর মন্দির দেখা যায়।

কিছু টিপস:

  • গবেষণা করুন: ভ্রমণের পূর্বে কোন কোন মন্দিরে কোন কোন দেবতা পূজিত হন, তা জেনে নিন। স্থানীয় পর্যটন ওয়েবসাইট বা গাইডবুক এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
  • পরিবহন: হাকোনেতে বাস, ট্রেন এবং ফেরির মতো চমৎকার গণপরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। আপনার পছন্দের রুট অনুযায়ী পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করুন।
  • পঞ্জিকা: জাপানি নববর্ষের (New Year) সময় এই ধরনের দেবদর্শন যাত্রা বিশেষভাবে জনপ্রিয়। তবে বছরের যেকোনো সময় আপনি এই যাত্রা করতে পারেন। ২০২৫ সালের জুন মাসেও আপনি শান্ত পরিবেশে এই যাত্রা উপভোগ করতে পারেন।
  • ছোট দান: মন্দিরে প্রবেশের সময় বা পূজার পর ছোট অংকের দান করা জাপানি সংস্কৃতির একটি অংশ।

২০২৫ সালের জুন মাসে হাকোনে ভ্রমণ

আপনি যদি ২০২৫ সালের জুন মাসে হাকোনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে আবহাওয়া সাধারণত মনোরম থাকে। গরম থাকলেও, সকাল ও সন্ধ্যায় হালকা শীতলতা অনুভূত হতে পারে। এই সময় প্রকৃতি সবুজ থাকে এবং ফুল ফোটার সময়।

আপনার হাকোনে সাত ভাগ্যবান দেবতার দর্শন যাত্রাকে আরও আকর্ষণীয় করতে পারেন:

  • হাকোনেOpen-Air Museum: শিল্পপ্রেমীদের জন্য এটি এক অসাধারণ স্থান।
  • হাকোনে रोपवे ও Owakudani: আগ্নেয়গিরির উপত্যকা Owakudani-তে ভূগর্ভস্থ কার্যকলাপ এবং এখানকার কালো ডিম (kuro-tamago) চেখে দেখা এক নতুন অভিজ্ঞতা।
  • Lake Ashi-তে ক্রুজ: সুন্দর পরিবেশে হ্রদের উপর ক্রুজ উপভোগ করতে পারেন।
  • Onsen (উষ্ণ প্রস্রবণ): হাকোনে তার উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য বিখ্যাত। যাত্রার শেষে একটি উষ্ণ প্রস্রবণ স্নান আপনার ক্লান্তি দূর করবে।

শেষ কথা

হাকোনের সাত ভাগ্যবান দেবতার দর্শন লাভ করা কেবল ধর্মীয় একটি ক্রিয়া নয়, এটি এক মানসিক প্রশান্তি এবং জাপানি সংস্কৃতিকে আরও কাছ থেকে জানার এক অনবদ্য সুযোগ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে আধ্যাত্মিকতা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় হাকোনের এই পবিত্র স্থানে। তাই আপনার আগামী হাকোনে ভ্রমণে এই সাত ভাগ্যবান দেবের মন্দিরে পদার্পণ করতে ভুলবেন না। আপনার যাত্রা সৌভাগ্য ও শান্তিতে ভরে উঠুক!


আশা করি এই নিবন্ধটি আপনার ভালো লেগেছে এবং হাকোনের এই বিশেষ যাত্রার প্রতি আপনার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।


হাকোনের সাত ভাগ্যবান দেবতা: প্রশান্তির খোঁজে এক আধ্যাত্মিক যাত্রা

এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-06-25 22:21 এ, ‘হাকোন সাত ভাগ্যবান দেবতা কি?’ প্রকাশিত হয়েছে 観光庁多言語解説文データベース অনুযায়ী। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন যা সহজবোধ্য এবং পাঠকদের ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলে। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।


12

মন্তব্য করুন