সুস্থ সমুদ্র ছাড়া মানুষের টিকে থাকা অসম্ভব: জাতিসংঘের দূতের শঙ্কা,Climate Change


অবশ্যই! জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক দূত ২০২৫ সালের ৬ জুন বলেছেন, সুস্থ সমুদ্র ছাড়া মানুষের টিকে থাকা অসম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এই বিষয়ে একটি নিবন্ধ দেওয়া হলো:

সুস্থ সমুদ্র ছাড়া মানুষের টিকে থাকা অসম্ভব: জাতিসংঘের দূতের শঙ্কা

জাতিসংঘ, ৬ জুন ২০২৫: জলবায়ু পরিবর্তনের চরম হুমকিতে যখন বিশ্ব জর্জরিত, তখন জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক দূত এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সুস্থ সমুদ্র ছাড়া মানবজাতির টিকে থাকা অসম্ভব। ২০২৫ সালের ৬ জুন দেওয়া এই বক্তব্যে তিনি সমুদ্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ওপর জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সমুদ্রের গুরুত্ব:

আমাদের গ্রহের ৭০ শতাংশের বেশি অংশ জুড়ে রয়েছে সমুদ্র। এটি শুধু বিশাল জলরাশি নয়, বরং পৃথিবীর জলবায়ু এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর ভূমিকা অপরিহার্য। সমুদ্র আমাদের খাদ্য, অক্সিজেন এবং অর্থনীতির অন্যতম প্রধান উৎস।

  • অক্সিজেন উৎপাদন: পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের একটি বড় অংশ আসে সমুদ্র থেকে। ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন নামক ক্ষুদ্র উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে এই অক্সিজেন তৈরি করে।
  • খাদ্য সরবরাহ: বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আমিষের প্রধান উৎস সমুদ্র। মাছ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাদ্য অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবেও কাজ করে।
  • জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ: সমুদ্র বায়ুমণ্ডল থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। এটি গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনকে ধীর করে দেয়। এছাড়া, সমুদ্র তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার ধরনকে প্রভাবিত করে।

জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি:

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে সমুদ্রের স্বাভাবিক কার্যাবলী ব্যাহত হচ্ছে এবং মানুষসহ অন্যান্য জীবের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে।

  • সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধি: বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বাড়ছে। এতে সামুদ্রিক প্রাণীরা তাদের স্বাভাবিক আবাসস্থল হারাচ্ছে। অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, যা খাদ্য শৃঙ্খলে প্রভাব ফেলছে।
  • অম্লতা বৃদ্ধি: সমুদ্র প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করার কারণে পানির অম্লতা বাড়ছে। এর ফলে শামুক, ঝিনুক এবং প্রবাল প্রাচীরের মতো প্রাণীর খোলস তৈরি করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
  • সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি: মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে থাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এতে উপকূলীয় এলাকাগুলো ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যার ফলে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে মানুষ।
  • দূষণ: প্লাস্টিক দূষণ এবং অন্যান্য দূষণ সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে মানবদেহের জন্যও হুমকি তৈরি করছে।

জাতিসংঘের দূতের আহ্বান:

জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক দূত বলেন, “আমাদের সমুদ্রকে বাঁচাতে এখনই জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে মানবজাতি হিসেবে আমাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।” তিনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়ার কথা বলেন:

  • কার্বন নিঃসরণ কমানো: গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে হবে, যাতে সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • দূষণ রোধ: সমুদ্রে প্লাস্টিক এবং অন্যান্য দূষণ বন্ধ করতে হবে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং রিসাইক্লিংয়ের ওপর জোর দিতে হবে।
  • টেকসই মৎস্য শিকার: মাছ ধরা এবং অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে টেকসই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, যাতে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা যায়।
  • সংরক্ষণ অঞ্চল তৈরি: সমুদ্রের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোকে সুরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে, যেখানে মাছ ধরা এবং অন্যান্য ক্ষতিকর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হবে।

সমুদ্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এর ফলস্বরূপ যে বিপর্যয় নেমে আসবে, তা থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হবে। তাই, ব্যক্তি, সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে সমুদ্রকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে।


Humans can’t survive without a healthy Ocean: UN envoy


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-06-06 12:00 এ, ‘Humans can’t survive without a healthy Ocean: UN envoy’ Climate Change অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।


1021

মন্তব্য করুন