পেন্টাগন প্রধানের হুশিয়ারি: ইন্দো-প্যাসিফিকে স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে,Defense.gov


অবশ্যই! এখানে আপনার জন্য একটি বিস্তারিত নিবন্ধ দেওয়া হলো:

পেন্টাগন প্রধানের হুশিয়ারি: ইন্দো-প্যাসিফিকে স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে

সিঙ্গাপুরের সাংরি-লা ডায়ালগে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ২০২৫ সালের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের ওয়েবসাইটে (Defense.gov) ৩১ মে, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এই ভাষণে সেক্রেটারি হেগসেথ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং এক্ষেত্রে আমেরিকার কৌশলগত অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

ভাষণের মূল বিষয়বস্তু:

  • ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: সেক্রেটারি হেগসেথ তাঁর ভাষণে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা বাড়ছে, যা স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ। বিশেষ করে, চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক বিরোধগুলো উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

  • যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার: তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে, আমেরিকা তার মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করবে এবং অঞ্চলে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে। সেক্রেটারি হেগসেথ আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলের দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

  • চীনের ভূমিকা: সেক্রেটারি হেগসেথ চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চীন যেভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করছে এবং অন্যান্য দেশের জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করছে, তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি চীনকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ মীমাংসা করার আহ্বান জানান।

  • সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ: আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতে সেক্রেটারি হেগসেথ বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং মানবিক সাহায্য কার্যক্রমের মতো ক্ষেত্রগুলোতে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন। এছাড়া, সাইবার নিরাপত্তা এবং তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমেও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।

  • সামরিক প্রস্তুতি: সেক্রেটারি হেগসেথ জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম। তিনি মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেন, যাতে সম্মিলিতভাবে অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

  • অর্থনৈতিক সহযোগিতা: নিরাপত্তা ছাড়াও, সেক্রেটারি হেগসেথ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করতে আগ্রহী এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায়।

গুরুত্ব: সেক্রেটারি হেগসেথের এই ভাষণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থানের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে। এটি regional powerগুলোর জন্য একটি বার্তা যে আমেরিকা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যেকোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত।

এই ভাষণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র দেশগুলোর কাছে নিজেদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং চীনের প্রতি একটি কড়া বার্তা দিয়েছে। সামগ্রিকভাবে, সেক্রেটারি হেগসেথের এই ভাষণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা এবং ভূ-রাজনৈতিক গতিপথের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


Remarks by Secretary of Defense Pete Hegseth at the 2025 Shangri-La Dialogue in Singapore (As Delivered)


এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।

নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:

2025-05-31 12:54 এ, ‘Remarks by Secretary of Defense Pete Hegseth at the 2025 Shangri-La Dialogue in Singapore (As Delivered)’ Defense.gov অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।


643

মন্তব্য করুন