
জলবায়ু পরিবর্তন: আগামী পাঁচ বছরেই ১.৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির সীমা অতিক্রম করার সমূহ সম্ভাবনা
জাতিসংঘের সংবাদ অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব সম্ভবত আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে শিল্প বিপ্লবের আগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করবে। এই বিষয়ে জাতিসংঘের একটি শীর্ষ প্রতিবেদনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মূল তথ্য:
- বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি: ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা শিল্প বিপ্লবের আগের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- প্যারিস চুক্তি: ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, তবে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার চেষ্টা করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়া কঠিন।
- প্রভাব: তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে চরম আবহাওয়া, যেমন – তাপপ্রবাহ, খরা, বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার মতো ঘটনা বাড়বে। এর ফলে খাদ্য উৎপাদন, জল সরবরাহ এবং বাস্তুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
- কারণ: গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বৃদ্ধি এর প্রধান কারণ। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, বনভূমি ধ্বংস এবং শিল্প কার্যক্রমের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে।
- জাতিসংঘের আহ্বান: গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে দ্রুত এবং জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, জ্বালানি দক্ষতা বাড়ানো এবং বনভূমি সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বিস্তারিত আলোচনা:
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনটি জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতাকে তুলে ধরেছে। ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়বে। উপকূলীয় এলাকাগুলো সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যেতে পারে, খাদ্য উৎপাদন কমে যেতে পারে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য প্রতিটি দেশকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে দরিদ্র দেশগুলোকে প্রযুক্তি ও আর্থিক সহায়তা দিতে হবে, যাতে তারাও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে অংশ নিতে পারে।
ব্যক্তিগতভাবে আমরা যা করতে পারি:
- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়া: অপ্রয়োজনীয় লাইট ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বন্ধ রাখা।
- পুনর্ব্যবহার: রিসাইকেল করা যায় এমন জিনিস ব্যবহার করা এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো।
- পরিবহন: গণপরিবহন ব্যবহার করা অথবা সাইকেল চালানো।
- গাছ লাগানো: বেশি করে গাছ লাগানো এবং বনভূমি রক্ষায় সাহায্য করা।
জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যার সমাধান collective action এর মাধ্যমেই সম্ভব। জরুরি পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
Climate change: World likely to breach 1.5°C limit in next five years
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-05-28 12:00 এ, ‘Climate change: World likely to breach 1.5°C limit in next five years’ Top Stories অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।
573