
অবশ্যই, জাপান পর্যটন সংস্থার ডেটাবেসে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী “সুকুই-আমি” মৎস্য শিকার পদ্ধতি নিয়ে একটি বিস্তারিত নিবন্ধ নিচে দেওয়া হলো:
জাপানের ঐতিহ্যবাহী সুকুই-আমি: এক প্রাচীন মৎস্য শিকারের পদ্ধতি যা পর্যটকদের মুগ্ধ করবে
প্রকাশনার তারিখ: 2025-05-13, ভোর 04:09 এ সূত্র: জাপান পর্যটন সংস্থা বহুভাষিক ভাষ্য ডেটাবেস (観光庁多言語解説文データベース) প্রদত্ত শিরোনাম: ‘Traditional তিহ্যবাহী ফিশিং পদ্ধতি স্কুইজি চেপে নিন’
জাপান, তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এই দেশটির ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো এর বিভিন্ন ধরনের মৎস্য শিকার পদ্ধতি, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে স্থানীয় জীবনযাত্রার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জাপান পর্যটন সংস্থার বহুভাষিক ডেটাবেস অনুযায়ী, গত 2025 সালের 13ই মে ভোর 04:09 মিনিটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে এমনই এক আকর্ষণীয় ও ঐতিহ্যবাহী মৎস্য শিকার পদ্ধতি ‘সুকুই-আমি’ (Sukui-ami) নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। নিবন্ধটির বাংলা শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘Traditional তিহ্যবাহী ফিশিং পদ্ধতি স্কুইজি চেপে নিন’। এই নামটি হয়তো পদ্ধতির সরাসরি অনুবাদ (‘সুকুই’ মানে ‘চেপে/তুলে নেওয়া’, ‘আমি’ মানে ‘জাল’), তবে আসল জাপানি নাম হলো সুকুই-আমি (すくい網)। এই পদ্ধতিটি জাপানের গভীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি, যা আধুনিক যুগেও তার আবেদন ধরে রেখেছে এবং পর্যটকদের নতুন করে আকৃষ্ট করছে।
সুকুই-আমি কী?
সুকুই-আমি শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো ‘চেপে/তুলে নেওয়া জাল’ (Scooping Net)। নাম থেকেই বোঝা যায়, এই পদ্ধতিতে এক বিশেষ ধরনের জাল ব্যবহার করে জল থেকে মাছ ‘তুলে নেওয়া’ হয়। এটি একটি প্রাচীন এবং তুলনামূলকভাবে সরল পদ্ধতি, তবে এর প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান, দক্ষতা এবং দ্রুততা।
এই পদ্ধতিটি সাধারণত রাতে বা ভোরের ঠিক আগে প্রচলিত। জেলেরা ছোট বা মাঝারি আকারের বিশেষ ধরনের নৌকা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট মৎস্য শিকার অঞ্চলে যায়। তারা প্রথমে জলের মধ্যে শক্তিশালী আলো ফেলে মাছের ঝাঁককে আকৃষ্ট করে। বিভিন্ন প্রজাতির ছোট থেকে মাঝারি আকারের মাছ, যেমন সার্ডিন, অ্যাচি (Horse Mackerel), স্কুইড বা অন্যান্য ছোট সামুদ্রিক জীব আলোর টানে নৌকার কাছে জড়ো হয়।
মাছ জড়ো হওয়ার পর, জেলেরা একটি বিশেষ বড় আকারের স্কুপ নেট বা সুকুই-আমি ব্যবহার করে দ্রুত গতিতে জল থেকে মাছের ঝাঁককে তুলে নেয়। এই জালের মুখটি সাধারণত চওড়া হয় এবং এটি একটি লম্বা বাঁট বা হাতলের সাথে যুক্ত থাকে। কাজটি করতে অত্যন্ত sincronization এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়, কারণ মাছেরা একবার বিপদের আঁচ পেলে দ্রুত সরে যায়।
কোথায় ও কখন দেখা যায়?
সুকুই-আমি পদ্ধতিটি জাপানের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচলিত, বিশেষ করে যেখানে বিশেষ প্রজাতির মাছ ঋতু অনুযায়ী ঝাঁক বেঁধে আসে বা প্রজননের জন্য একত্রিত হয়। শান্ত উপসাগর, ছোট পোতাশ্রয় বা নদী মোহনার কাছাকাছি এই পদ্ধতির প্রয়োগ বেশি দেখা যায়।
কোন প্রজাতির মাছ ধরা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে সুকুই-আমি-এর মরশুম ঠিক হয়, তবে সাধারণত গ্রীষ্ম বা শরৎকালে এর প্রচলন বেশি দেখা যায় যখন নির্দিষ্ট মাছের আনাগোনা বাড়ে। আর মাছের আচরণ অনুযায়ী, এই মৎস্য শিকার রাতের অন্ধকারে বা ভোরের আলো ফোটার আগেই করা হয়।
ঐতিহ্য ও গুরুত্ব:
সুকুই-আমি জাপানের শত শত বছরের মৎস্য শিকার ঐতিহ্যের অংশ। আধুনিক প্রযুক্তি আসার আগে এই পদ্ধতি স্থানীয় জেলেদের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম প্রধান উপায় ছিল। এটি শুধুমাত্র মাছ ধরা নয়, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি, জ্ঞান এবং প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্কের প্রতীক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই জ্ঞান ও দক্ষতা হস্তান্তরিত হয়েছে।
বড় ট্রলার বা আধুনিক যন্ত্রপাতির তুলনায় সুকুই-আমি পদ্ধতিটি অপেক্ষাকৃত পরিবেশবান্ধব হতে পারে, কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির মাছকে লক্ষ্য করে করা হয়, যা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের উপর কম চাপ সৃষ্টি করে এবং অতিরিক্ত মৎস্য শিকার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ:
পর্যটকদের জন্য সুকুই-আমি এক দারুণ এবং অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে। এটি জাপানের উপকূলীয় জীবনযাত্রা এবং ঐতিহ্যের এক জীবন্ত চিত্র তুলে ধরে।
- দৃশ্য উপভোগ: বিশেষ করে রাতের বেলা যখন আলো জ্বেলে মাছ আকৃষ্ট করা হয়, তখন জলের মধ্যে সেই আলো-আঁধারির দৃশ্য অত্যন্ত মন মুগ্ধকর হয়। এটি একটি ফটোগ্রাফারের জন্য দারুণ বিষয় হতে পারে।
- সরাসরি অভিজ্ঞতা: অনেক অঞ্চলে স্থানীয় মৎস্যজীবী সমবায় বা পর্যটন সংস্থা এই মৎস্য শিকার পদ্ধতি প্রদর্শনের আয়োজন করে। কিছু জায়গায় হয়তো পর্যটকদের ছোট নৌকায় উঠে জেলেদের সাথে এই প্রক্রিয়ার সাক্ষী হওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়। এটি জাপানের স্থানীয় জীবনের সাথে পরিচিত হওয়ার এক দারুণ উপায়।
- তাজা মাছের স্বাদ: সুকুই-আমি পদ্ধতিতে ধরা মাছগুলি সাধারণত অত্যন্ত তাজা হয়। স্থানীয় বাজার বা রেস্তোরাঁগুলিতে প্রায়শই এই মাছ দিয়ে সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। জাপানে এসে এই পদ্ধতিতে ধরা অতি তাজা মাছের স্বাদ নেওয়া এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
- সাংস্কৃতিক জ্ঞান: এই পদ্ধতির পেছনের ইতিহাস, কৌশল এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে জেনে জাপানের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে গভীর ধারণা লাভ করা যায়।
উপসংহার:
জাপান পর্যটন সংস্থার ডেটাবেসে উল্লিখিত ‘সুকুই-আমি’ পদ্ধতিটি কেবল একটি মৎস্য শিকার কৌশল নয়, এটি জাপানের উপকূলীয় সংস্কৃতির একটি মূল্যবান অংশ। এর রাতের বেলার আলো ঝলমলে দৃশ্য, জেলেদের শত শত বছরের দক্ষতা এবং ধরা পড়া অতি তাজা সামুদ্রিক খাদ্য – সবকিছুই পর্যটকদের এক বিশেষ অভিজ্ঞতা দিতে পারে।
যদি আপনি জাপানের উপকূলীয় অঞ্চল ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন এবং প্রচলিত পর্যটন আকর্ষণগুলোর বাইরে গিয়ে কিছুটা অন্যরকম কিছু দেখতে বা অভিজ্ঞতা লাভ করতে চান, তাহলে এই ঐতিহ্যবাহী সুকুই-আমি পদ্ধতিটি দেখার সুযোগ খুঁজে বের করুন। এটি নিশ্চিতভাবেই আপনার জাপান ভ্রমণকে আরও সমৃদ্ধ ও অর্থপূর্ণ করে তুলবে। স্থানীয় পর্যটন কেন্দ্র বা তথ্য কেন্দ্রগুলিতে যোগাযোগ করে আপনি এই মৎস্য শিকার প্রদর্শনী বা সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারেন।
জাপানের ঐতিহ্যবাহী সুকুই-আমি: এক প্রাচীন মৎস্য শিকারের পদ্ধতি যা পর্যটকদের মুগ্ধ করবে
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-05-13 04:09 এ, ‘Traditional তিহ্যবাহী ফিশিং পদ্ধতি স্কুইজি চেপে নিন’ প্রকাশিত হয়েছে 観光庁多言語解説文データベース অনুযায়ী। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন যা সহজবোধ্য এবং পাঠকদের ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলে। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।
46