
অবশ্যই, ২০২৫ সালের ১০ মে প্রকাশিত জাতিসংঘের সংবাদ প্রতিবেদনটির সম্ভাব্য বিষয়বস্তু এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে এর সংযোগ নিয়ে একটি সহজবোধ্য ও বিস্তারিত নিবন্ধ নিচে দেওয়া হলো। যেহেতু এটি একটি ভবিষ্যৎ তারিখের প্রতিবেদন, তাই এর মূলভাব ও জলবায়ু পরিবর্তনের সংযোগ অনুমান করে লেখা হয়েছে।
পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তা: ‘আমরা আরও ভালো করতে পারি’ – বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা বাড়াতে জাতিসংঘের আহ্বান (জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সংযোগ সহ)
২০২৫ সালের ১০ মে জাতিসংঘের সংবাদ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে এবং এই বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটির মূল বার্তা ছিল: ‘আমরা আরও ভালো করতে পারি’ (We can do better) – যার অর্থ হলো পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তা বাড়াতে বর্তমান প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়, এবং আরও অনেক কিছু করার সুযোগ ও প্রয়োজন রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যুটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের সাথেও গভীরভাবে সম্পর্কিত।
কেন পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তা জরুরি?
সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকেন পথচারী ও সাইকেল আরোহীরা। তাদের কোনো সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা থাকে না, ফলে যানবাহনের সামান্য আঘাতেও তারা গুরুতর আহত হন বা মারা যান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান, যার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হলেন পথচারী ও সাইকেল আরোহী। এই মৃত্যুর সংখ্যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এটি একটি বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সমস্যা।
এই দুর্ঘটনাগুলো শুধু ব্যক্তির জীবনই কেড়ে নেয় না, পরিবার ও সমাজের ওপরও এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চিকিৎসা ব্যয়, কর্মক্ষমতা হ্রাস, এবং মানসিক কষ্টের মতো বিষয়গুলো অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
‘আমরা আরও ভালো করতে পারি’ – এর অর্থ কী?
জাতিসংঘের এই বার্তাটি মূলত বিদ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলোর দুর্বলতা এবং উন্নতির সুযোগকে নির্দেশ করে। এর মানে হলো: ১. পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব: অনেক শহরে পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের জন্য আলাদা, নিরাপদ পথ বা লেন নেই। ২. দুর্বল আইন প্রয়োগ: গতিসীমা লঙ্ঘন, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করা, এবং চালকদের অসাবধানতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা প্রায়শই দেখা যায় না। ৩. জনসচেতনতার অভাব: চালক এবং পথচারী ও সাইকেল আরোহী উভয়ের মধ্যেই নিরাপদ সড়ক ব্যবহারের নিয়ম কানুন সম্পর্কে সচেতনতা কম। ৪. পরিকল্পনার অভাব: নগর পরিকল্পনায় প্রায়শই পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের সুবিধা ও নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার পায় না।
জাতিসংঘ মনে করে, এই ক্ষেত্রগুলোতে সমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিলে পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ:
প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নিতে উৎসাহিত করা হয়েছে:
- নিরাপদ অবকাঠামো নির্মাণ: পর্যাপ্ত ফুটপাথ, সাইকেল লেন, ওভারপাস, আন্ডারপাস এবং নিরাপদ জেব্রা ক্রসিং তৈরি করা।
- ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করা: শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় যানবাহনের গতিসীমা কমানো (যেমন স্কুল বা হাসপাতালের আশেপাশে), ট্র্যাফিক সিগন্যাল উন্নত করা।
- আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা: বেপরোয়া গাড়ি চালানো, মদ্যপান করে ড্রাইভিং, এবং ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
- জনসচেতনতা বৃদ্ধি: নিরাপদ সড়ক আচরণ সম্পর্কে চালক, পথচারী ও সাইকেল আরোহী সবাইকে সচেতন করার জন্য প্রচার চালানো।
- প্রযুক্তি ব্যবহার: স্মার্ট ট্র্যাফিক সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয় জরুরি ব্রেকিং সিস্টেমের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাড়ানো।
- সমন্বিত পরিকল্পনা: নগর পরিকল্পনায় পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের চাহিদা ও নিরাপত্তা বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সংযোগ:
পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি কেবল জীবন রক্ষার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি অপরিহার্য অংশও। কীভাবে?
- পরিবেশবান্ধব পরিবহন: হাঁটা ও সাইক্লিং হলো সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা। এতে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হয় না এবং কার্বন নিঃসরণ শূন্য।
- গাড়ির ব্যবহার হ্রাস: যখন হাঁটা বা সাইকেল চালানো নিরাপদ এবং সুবিধাজনক হয়, তখন মানুষ স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য গাড়ির পরিবর্তে এই পদ্ধতিগুলো বেছে নিতে উৎসাহিত হয়। এর ফলে সড়কে গাড়ির সংখ্যা কমে, যা কার্বন নিঃসরণ এবং বায়ু দূষণ হ্রাস করে।
- টেকসই নগর উন্নয়ন: পথচারী ও সাইকেল আরোহীবান্ধব শহরগুলো সাধারণত আরও টেকসই এবং বাসযোগ্য হয়। এই ধরনের পরিকল্পনা নগরের কার্বন পদচিহ্ন (carbon footprint) কমাতে সাহায্য করে।
- শারীরিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশ: হাঁটা ও সাইকেল চালানো শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যখন মানুষ সুস্থ থাকে, তখন স্বাস্থ্যখাতে চাপ কমে এবং পরিবেশের উপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে (যেমন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণ কমে)।
সুতরাং, পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। এটি কেবল জীবন বাঁচায় না, বরং একটি স্বাস্থ্যকর, পরিচ্ছন্ন এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার পথ প্রশস্ত করে।
উপসংহার:
জাতিসংঘের ‘আমরা আরও ভালো করতে পারি’ বার্তাটি একটি স্পষ্ট আহ্বান – বিশ্বজুড়ে পথচারী ও সাইকেল আরোহীদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য জরুরি এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এটি কেবল সড়ক সুরক্ষার বিষয় নয়, বরং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সবার জন্য একটি টেকসই ও স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সরকার, নগর পরিকল্পনাবিদ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং প্রত্যেক নাগরিককে এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। নিরাপদ সড়ক মানে নিরাপদ জীবন এবং নিরাপদ পরিবেশ।
‘We can do better’ for pedestrian and cyclist safety worldwide
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-05-10 12:00 এ, ‘‘We can do better’ for pedestrian and cyclist safety worldwide’ Climate Change অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন। অনুগ্রহ করে বাংলায় উত্তর দিন।
469