
পর্যটন অধিদপ্তরের বহুভাষিক ব্যাখ্যা ডাটাবেস অনুসারে, “কুসাতসু ওনসেন” – ওটাকিনয়ু, ওজানয়ু এবং নিশিনোকাওয়ারা বসন্তের জলের সরাসরি প্রবাহের সাথে ওপেন-এয়ার স্নান -এর বিশদ নিবন্ধ নিচে দেওয়া হলো:
কুসাতসু ওনসেন: প্রকৃতির মাঝে উষ্ণ জলের অমৃতধারা
জাপানের অন্যতম বিখ্যাত এবং ঐতিহ্যবাহী উষ্ণ প্রস্রবণ কেন্দ্র কুসাতসু ওনসেন। গুনমা প্রিফেকচারে অবস্থিত এই স্থানটি তার নিরাময় ক্ষমতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। কুসাতসুর উষ্ণ জলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর জলের গুণমান। এখানকার জল সরাসরি তিনটি ভিন্ন উৎস থেকে আসে: ওটাকিনয়ু, ওজানয়ু এবং নিশিনোকাওয়ারা। এই তিনটি উৎসই তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং উপকারিতা নিয়ে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
ওটাকিনয়ু (Otakinoyu):
ওটাকিনয়ু কুসাতসুর অন্যতম জনপ্রিয় উষ্ণ প্রস্রবণ। এর বিশেষত্ব হলো এখানে “জিকান-ইউ” নামক একটি ঐতিহ্যবাহী স্নান পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। “জিকান-ইউ” হলো সময় মেনে গরম জলে স্নান করা। এই পদ্ধতিতে স্নানার্থীদের প্রথমে উষ্ণ জলে অভ্যস্ত করা হয় এবং ধীরে ধীরে জলের তাপমাত্রা বাড়ানো হয়। মনে করা হয়, এই পদ্ধতিতে স্নান করলে শরীরের রক্ত চলাচল বাড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, ওটাকিনয়ুর স্থাপত্যশৈলীও বেশ আকর্ষণীয়, যা পুরনো দিনের জাপানি ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।
ওজানয়ু (Ojayu):
ওজানয়ু কুসাতসুর কেন্দ্রে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যপূর্ণ স্নানাগার। এটি “ইউবাতা” নামক কাঠের নালা দিয়ে ঘেরা, যেখান থেকে গরম জল সরাসরি আসে। ওজানয়ুর জল তার অম্লীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, যা ত্বককে মসৃণ করে এবং বিভিন্ন চর্মরোগ সারাতে সহায়ক। এখানেের প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করার মতো এবং এখানকার শান্ত পরিবেশ মনকে শান্তি এনে দেয়।
নিশিনোকাওয়ারা (Sainokawara Park):
নিশিনোকাওয়ারা মূলত একটি পার্ক, যার মধ্যে একটি বিশাল আকারের রোতেনবুরো (rotenburo) বা উন্মুক্ত উষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে। এই পার্কের মধ্যে পাথরের স্তূপ এবং ছোট ছোট নদীর মতো উষ্ণ জলের ধারা বয়ে গেছে, যা একটি মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এখানে স্নান করার পাশাপাশি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এখানকার উষ্ণ জল শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং মনকে সতেজ করে তোলে।
কুসাতসুর জলের বৈশিষ্ট্য:
কুসাতসুর উষ্ণ জলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর উচ্চ অম্লতা এবং গন্ধকের উপস্থিতি। এই জল বিভিন্ন রোগ যেমন – বাতের ব্যথা, চর্মরোগ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। এছাড়াও, এই জল ত্বককে মসৃণ করে এবং শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
কীভাবে যাবেন:
টোকিও থেকে কুসাতসুতে যাওয়া বেশ সহজ। টোকিও স্টেশন থেকে সরাসরি কুসাতসু অনসেনের বাস পাওয়া যায়। এছাড়া, শিনকানসেন বুলেট ট্রেনে কারুইজাওয়া স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে বাসে কুসাতসু পৌঁছানো যায়।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান:
কুসাতসু শুধুমাত্র উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য বিখ্যাত নয়, এর আশেপাশে আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। আপনি ইউবাতাকে (Yubatake) দেখতে পারেন, যা কুসাতসুর অন্যতম পরিচিত প্রতীক। এছাড়াও, কুসাতসু আন্তর্জাতিক স্কি রিসোর্ট শীতকালে স্কি করার জন্য একটি চমৎকার জায়গা।
কুসাতসু ওনসেন কেবল একটি উষ্ণ প্রস্রবণ কেন্দ্র নয়, এটি জাপানের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক। যারা প্রকৃতির মাঝে বিশ্রাম নিতে চান এবং একই সাথে নিরাময় ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য কুসাতসু একটি আদর্শ গন্তব্য।
এই তথ্যগুলো পর্যটন অধিদপ্তরের বহুভাষিক ব্যাখ্যা ডাটাবেস থেকে নেওয়া হয়েছে, যা কুসাতসুর আকর্ষণ এবং তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
গুগল জেমিনির থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত প্রশ্নটি ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-04-09 18:08 এ, ‘”কুসাতসু ওনসেন” – ওটাকিনয়ু, ওজানয়ু, এবং নিশিনোকাওয়ারা বসন্তের জলের সরাসরি প্রবাহের সাথে ওপেন -এয়ার স্নান’ প্রকাশিত হয়েছে 観光庁多言語解説文データベース অনুযায়ী। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন যা সহজবোধ্য এবং পাঠকদের ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলে।
22