
জাতিসংঘের একটি সতর্কবার্তা : শিশু মৃত্যুহার এবং মৃত প্রসবের ঝুঁকি কমাতে এক দশকের অগ্রগতিতে শঙ্কা
জাতিসংঘের প্রকাশিত ‘হেলথ’ বিষয়ক এক প্রতিবেদনে শিশু মৃত্যুহার এবং মৃত প্রসবের ঘটনা হ্রাসের ক্ষেত্রে গত এক দশকে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল, তা থমকে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিশু জন্মের পরপরই মারা যায় এবং অনেক শিশু মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়, যা পরিবার এবং সম্প্রদায়ের জন্য গভীর বেদনার কারণ হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলো প্রতিরোধে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
জাতিসংঘের এই সতর্কবার্তার মূল কারণ :
-
অগ্রগতির স্থবিরতা: এক দশকে শিশু মৃত্যুহার এবং মৃত প্রসবের ঝুঁকি হ্রাসে যে অগ্রগতি হয়েছিল, তা এখন থমকে গেছে। এর ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
-
জীবনহানির সংখ্যা: বছরে লক্ষ লক্ষ শিশু জন্মের পরপরই মারা যায় অথবা মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়। এই সংখ্যাগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয়, প্রতিটি শিশুই ছিল একটি সম্ভাবনা এবং তাদের পরিবারের আশা।
-
প্রতিরোধযোগ্য ঘটনা: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সময়োপযোগী এবং যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
মাতৃস্বাস্থ্যসেবার অভাব: অনেক নারী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের সময় জটিলতা সৃষ্টি করে। এর ফলে শিশু মৃত্যুহার এবং মৃত প্রসবের ঝুঁকি বাড়ে।
-
দারিদ্র্য এবং বৈষম্য: দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিশু মৃত্যুহারের হার বেশি। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য এই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটায়।
-
সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি: যুদ্ধ, সংঘাত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।
করণীয়:
-
মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি: গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে প্রসব পরবর্তী সময়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সরবরাহ বাড়াতে হবে।
-
স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন: স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
-
বৈষম্য হ্রাস: দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে হবে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা প্রদান করতে হবে।
-
জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি: সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা যেন ভেঙে না পড়ে, সেজন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে।
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনটি শিশু মৃত্যুহার এবং মৃত প্রসবের ঘটনা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছে। ২০৩০ সালের মধ্যে SDG অর্জনের জন্য সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রতিটি শিশুর জীবন মূল্যবান, এবং তাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
শিশুদের মৃত্যু এবং স্টিল জন্মের ঝুঁকিতে হ্রাসে দশকের অগ্রগতি, জাতিসংঘের সতর্কতা
এআই সংবাদ সরবরাহ করেছে।
নিচের প্রশ্নটি Google Gemini থেকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছে:
2025-03-25 12:00 এ, ‘শিশুদের মৃত্যু এবং স্টিল জন্মের ঝুঁকিতে হ্রাসে দশকের অগ্রগতি, জাতিসংঘের সতর্কতা’ Health অনুযায়ী প্রকাশিত হয়েছে। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত তথ্য সহ সহজবোধ্যভাবে একটি বিশদ নিবন্ধ লিখুন।
20